লালমাইয়ে ফসলি জমির মাটি ইট ভাঁটায়
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৫০ অপরাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি
ইউনিভার্সেল কামাল (লালমাই):
কৃষি নির্ভরশীল দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এই দেশের মাটিতে সোনা ফলে। অথচ, কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় প্রতিনিয়ত ফসলি জমির উর্বর মাটি কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে ইট ভাঁটায়। ভারি ট্রাক চলাচলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা, বায়ুদূষণের কারনে শিক্ষার্থীরা ও স্কুলে যেতে পারছেনা, অসুস্থ হয়ে পড়ছে বয়োবৃদ্ধরা।
লালমাই উপজেলায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইট ভাঁটাগুলোতে ইট তৈরির কাজের জন্য একটি বিশেষ চক্রের মাধ্যমে প্রতিদিন কাঁটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি ভোর বেলা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা আবার কোথায় চলছে ২৪ ঘন্টা।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালের ৫৯ নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমি হতে মাটি কাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দণ্ডেদন্ডিত হইবেন।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত বা ইউনিয়ন বা গ্রামীন সড়ক ব্যবহার করিয়া কোন ব্যক্তি ভারি যানবাহন দ্বারা ইট বা ইটের কাচাঁমাল পরিবহন করিতে পারিবেন না। যদি কোন ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হইলে তিনি ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। এসব আইন থাকার পরও মাটিখেকোরা আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসন চোখের সামনে এসব কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পরও প্রশাসনের এই নিরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এলাকাবাসীর মনে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কলমিয়া, জামুয়া, হলদিয়া ও ছোট শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, যে ভাবে রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচল করছে এমনটা চলতে থাকলে জানুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীরা ৫০% ও উপস্থিত থাকবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ কবির খাঁন বলেন, ফসলি উর্বর মাটি বিক্রয়ের কারনে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে ধান জাতীয় ফসলের চাষ। কেননা, মাটির উপরিভাগ (টপসয়েল) এ ফসলের শিকড় ছড়ায় তাছাড়া, টপসয়েল নিজের স্থানে আসতে প্রায় অনেক বছর সময় লাগে।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফোরকান এলাহি অনুপম বলেন, আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেছি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি।